স্টাফ রিপোর্টার
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত ব্যক্তিত্ব আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে হিরো আলম আপিল আবেদন দাখিল করেন। এর আগে গত রোববার ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
আপিল আবেদন শেষে হিরো আলম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রতিটা মানুষের নির্বাচন করার অধিকার আছে। এবারও নির্বাচন করার টার্গেট আছে আমার। কথায় তো আছে, একবার না পারিলে দেখ শতবার। এমন কোন বয়স হয়নি যে, আমি নির্বাচন করতে পারবো না। যেহেতু জীবনযুদ্ধে (নির্বাচনে) লড়াইয়ে নেমেছি, দেখি শেষ পর্যন্ত কতটা করতে পারি। আমি পরিপূর্ণভাবে সব জমা দিয়েছি। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে বুঝতে পারবো, তারা সুষ্ঠু বিচার করলেন না অবিচার করলেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যখন ভোট করি তখনও একই কারণে বাতিল করা হয়েছিল। এবার সে ভুল জানা মতে করিনি।
একটা ভুল তারা ধরেছেন যে, একজন ভোটারের নাকি নাম্বার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ওই নামে আমি কারো নাম্বারই জমা দিইনি, উনারা যে ভুলটা ধরেছে আরেকটা ভোটার লিস্টে নাম পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু নাম্বার পাওয়া যাচ্ছে না। এই দুইটা বিষয়টি আমি কমিশনে জমা দিয়েছি। আগেরবারও বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হলে হাইকোর্ট থেকে পরে প্রার্থিতা পেয়েছিলাম। সে বারও এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে এতকিছু করার পরও বাতিল করে দিল। তারপরও আমি হাল ছাড়লাম না। শেষ পর্যন্ত আইনের প্রতি বিশ্বাস ছিল। পরে হাইকোর্ট দিলেন। সেই নির্বাচনে মারামারির কারণে দুপুরে ভোট বর্জন করি।
হিরো আলম বলেন, ওখানে বগুড়া সদর ও কাহালুর দুইটা আসনেই শুধু আমার না, মোট ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বেশি ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। সবারই ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল। তারপর আইনের অন্য কোনো দোষ কিন্তু ধরতে পারেনি। শুধু বের করছেন ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল।
তিনি বলেন, এলাকার লোকজনের দাবি যেহেতু পছন্দের প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না, তাই এবারও বগুড়া সদর থেকে নির্বাচন করব। যেহেতু কাহালুর থেকে আগে ভোট করেছিলাম তাই ফের সেখান থেকে নমিনেশন নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমি জয়লাভ করবো। ১৮ সালের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হয়নি। আমার এলাকায় খুঁজে পায়নি। অন্য কোথাও হয়েছে কিনা আমি জানি না, আপনারা বলতে পারবেন।
কোটি টাকার সম্পদের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু লোক থাকেন তারা তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে। আমার জমা দেয়ার কথা ২০ লাখ, ওরা হয়তো ৫০ লাখ করে দিয়েছে। লিখতে তো আর সমস্যা হয় না, বলতেও সমস্যা হয় না। দেখতে হবে কোটি কোটি টাকা আছে কিনা। এটা তো আমি চাইলেও লুকিয়ে রাখতে পারব না। আমার কোটি কোটি টাকা, এত সম্পদ যদি থেকে থাকে তাহলে দুদক অবশ্যই তা খুঁজে দেখবে, আমার এত কিছু আছে কিনা।
তিনি বলেন, মারামারি করে তো আর প্রার্থিতা পাওয়া যাবে না। আমি চেষ্টা করবো, না পারলে কিছু করার নেই। কমিশনের প্রতি অনুরোধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখবেন। ইসি থেকে বাতিল হলে হাইকোর্টে যাবো।
সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669 / 01712596354
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Bd24news.com