স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহন ১২ জুন।ত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্য গুরুত্বপুর্ন ওয়ার্ড ১১ নম্বর ওয়ার্ড।অবহেলিত ও অনুন্নত এ ওয়ার্ডের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাউন্সিলর পদে টিফিন ক্যারিয়ার মার্কায় লড়ছেন তরুন প্রজন্মের অহংকার মারুফ আহমেদ জিয়া। এ ওয়ার্ডটি পুলিশ লাইনের দক্ষিণে জব্বার মিয়ার সড়ক হয়ে পশ্চিমে নূরিয়া স্কুল পযর্ন্ত।
অপরদিকে দক্ষিণে সাগরদী হাসপাতালের পাশ ঘিরে পুলিশের এ পি বি এন দপ্তর পযর্ন্ত বিস্তৃত। এই এলাকার সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক ।বর্ষাকালে রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যেতে দেখা যায়, ফলে নিচু বসতবাড়ির অভ্যন্তরে পানি ঢুকে যায়। জলাবদ্ধা বড় সমস্যা । সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিনের ব্যাবস্থা না থাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তার পাশেই বর্জ্য আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়। ওয়ার্ডের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য তরুন, উদ্যমী যুবক মারুফ আহমেদ জিয়া দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। জিয়া বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সকলের সাথে পরামর্শ করে সকল সমস্যা সমাধান করবো। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নশ্রেনীর জনসাধারণের জন্য কর্মের যথাযথ ব্যাবস্থাগ্রহন করবেন বলেও জানান জিয়া। ১১ নং ওয়ার্ডে কোন মাদকের স্পট থাকবেনা ।থাকবেনা কোন কিশোর গ্যাং।
বিগত সিটি নির্বাচনে জিয়া ২২৮৬ ভোট পেয়েও হেরে যান মজিবরের কাছে। যদিও সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বেলা ১০ টায় ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে আসেন মারুফ আহমেদ জিয়া।
ভোটাররা এবার নতুন মুখ দেখতে চায়।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জিয়া নির্বাচিত হলে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। জিয়া ভালো মানুষ। তার মাঝে অহংকার ও হিংসা নাই।
এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড। একের পর এক অভিযোগ আসছে প্রার্থীদের কাছ থেকে। ঘটছে মারামারি ,হুমকির ঘটনা। সম্প্রতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ আহমেদ ও তার সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে
২৬ মে দুপুরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ আহমেদ জিয়া ও ও তার সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু কলোনীতে নির্বাচনী প্রচারনা করতে ছিলেন। এসময় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মজিবর রহমান ৫০/৬০ সন্ত্রাসী নিয়ে মারুফ আহমেদ জিয়া ও তার সমর্থকদের উপর হামলা করে। তারা সবাই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিলো। হামলায় অন্তত ২০ জন সাধারন ভোটার ও জিয়ার সমর্থক আহত হয়। যারা সবাই শেবাচিম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত ও ওয়ার্ডের সাধারন ভোটাররা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ওয়ার্ডবাসী গত ১০ বছরে মজিবর রহমান এর কারনে ভোট দিতে পারছিনা। তার পালিত সন্ত্রাসীদের কারনে সাধারন মানুষ ও ভোটাররা ভয়ে তটস্থ থাকে। ভোট গ্রহনের সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা মজিবরের হয়ে কাজ করে। তাই এই ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট হয় না। তারা আরো বলেন, মজিবর কাউন্সিলরা ৭ ভাই। তাদের দুই ভাইয়ের নামে লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র আছে। যা প্রদর্শন করে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র জমা নিতে ও ১১ নং ওয়ার্ডকে অধিক ঝুঁকিপূর্ন ঘোষনা করতে প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রার্থী ও সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ মারামারি একটি ফৌজদারী অপরাধ। আমরা অভিযোগটি থানায় হস্তান্তর করে দিয়েছি। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে ওয়ার্ডের ৬৭ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পুলিশ কমিশনারের কাছ দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669 / 01712596354
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Bd24news.com