অনলাইন নিউজ : তিন বোনের সরকারি চাকরি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ; তদন্তের দাবি উঠছে নানা মহলে । শ্রম অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী এবং বর্তমানে প্রধান সহকারীর দায়িত্বে থাকা নাজনীন সুলতানা নাজুর বিরুদ্ধে উঠেছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। শুধু তিনিই নন, তার দুই বোনও একই কোটায় চাকরি নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত আছেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নু জাহান সফিয়ানের মেয়াদকালে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে নাজনীন ও তার দুই বোন চাকরি নেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে তারা চাকরি অর্জন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ নাজনীন সুলতানার বাবা কখনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
২০০২ সালে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ অধ্যাপিকা অপু উকিলের হাত থেকে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের ক্রিয়া সম্পাদক হিসেবে নিয়োগপত্র পান নাজনীন সুলতানা। এরপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে আসছেন।
২০২২ সালের ১৬ জুলাই সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত একটি কপি প্রকাশের মাধ্যমে নাজনীন সুলতানার দায়িত্ব বহাল থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অভিযোগ রয়েছে, যুব মহিলা লীগের ক্রিয়া সম্পাদক পদে থেকে তিনি প্রভাব খাটিয়ে শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখাতেন এবং উর্ধ্বতনদের তোয়াক্কা না করেই তদবীর বাণিজ্য করতেন।
ঢাকা ও নেত্রকোনায় নামে-বেনামে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও গ্রামের বাড়িতে প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি ও তার পরিবার।
সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669 / 01712596354
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Bd24news.com