অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে নিউইয়র্কে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার সমালোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিবাদের ভাষা কি ডিম ছুড়ে মারা হতে পারে, নাকি এটি যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ?
বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আখতার হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলটির নেতা-কর্মীরা আখতারের পিঠে ডিম ছুড়ে মারেন।
পশ্চিমা দেশসহ বিভিন্ন দেশেই ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এর ইতিহাসও পুরোনো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রোমান গভর্নর ভেসপাসিয়ানকে শাস্তিমূলক নীতিতে ক্ষুব্ধ প্রজারা শালগম ছুড়ে মেরেছিল।
মধ্যযুগে ডিম প্রবেশ করে এ তালিকায়। তখন বন্দীদের প্রকাশ্যে একসঙ্গে বেঁধে ডিম ছুড়ে মারা ছিল নিয়মিত ঘটনা। এলিজাবেথীয় যুগে নাট্যমঞ্চে খারাপ অভিনয়ের প্রতিবাদে দর্শকেরা পচা ডিম ছুড়ত, যা আজকের রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চে ব্যবহারের সঙ্গে খুব একটা বেমানান মনে হয় না।
তবে ডিম ছুড়ে মেরে ব্যক্তিকে আঘাত করা বা সম্পদের ক্ষতি করা কি বৈধ?
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট ঘেঁটে ও আইনকানুন পড়ে জানা যায়, সেখানে কোনো ব্যক্তিকে যেকোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা অপরাধ। বিচারের ক্ষেত্রে দেখা হয়, ঘটনাটি মজার ছলে করা হয়েছে কি না, ঘটনাটি কারও প্রতি ঘৃণা থেকে করা হয়েছে কি না, অথবা বড় কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে কি না?
অভিযুক্ত ব্যক্তির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটি পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হতে হবে।
সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669 / 01712596354
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত Bd24news.com