রাবি প্রতিনিধিঃ রায়হান ইসলাম
করোনা মহামারির মধ্যেই প্রখ্যাত বাউল শিল্পী রণেশ ঠাকুরের ঘরে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল উজানধল গ্রামের বিখ্যাত বাউল শিল্পী রণেশ ঠাকুর।
তিনি বিখ্যাত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের অন্যতম শীর্ষ।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের অন্যতম এই শিষ্য নিজ বাড়িতেই তার সঙ্গীত চর্চার কাজ চালিয়ে যেতেন।
কিন্তু রবিবার মধ্যরাতে তার গানের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার বিগত প্রায় ৪০ বছরের সাধনাকল্প ; গানের বইপত্র, বাদ্যযন্ত্র ও সঙ্গীতচর্চার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
উক্ত ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংসদ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়।
বুধবার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, রাবি সংসদের সভাপতি ইউসুফ আলী নয়ন ও সাধারন সম্পাদক রবিন এক বিবৃতিতে বলেন,
আমারা মনে করি এ ঘটনা বাঙালির মুক্ত চিন্তার প্রতি প্রত্যক্ষ আঘাত। এমন ঘটনা সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার অন্তরায় এবং দেশীয় সংস্কৃতির জন্য এক হুমকী স্বরূপ । উক্ত ঘটনায় বাঙালি ঐতিহ্যের ধারাবহনকারী বাউল সংস্কৃতির অকল্পনীয় ক্ষতি সাধীত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উদীচী সংসদেরর পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি ।
পরিশেষে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উদীচী সাংস্কৃতিক সংসদের পক্ষ থেকে প্রখ্যাত বাউল শিল্পী রণেশ ঠাকুরের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং বাংলাদেশে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করেছেন "।