ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধ তার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গৃহবধূর স্বজনর ও এলাকাবাসী দাফন না দিয়ে লাশ নিয়ে ৪ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের বাবা আমির হোসেন গাজী সময় বলেন, গত ২১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মো: কুদ্দুস হোসেন (স্বামীর বাড়িতে) তার মেয়ে রুনা লায়লাকে (২৬) পিটিয়ে হত্যা করে।ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে পুলিশকে খবর দেয় জামাত ওই ইউপি সদস্য।খবর পেয়ে একই উপজেলার ডহশংকর গ্রামের তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন জামাতার বাড়ির ছুটে যান। কিন্তু জামাতা কুদ্দুসসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রথমে তার মেয়ে মরদেহ দেখতে দেয়নি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মর্গের কাজ শেষে মেয়ের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাবা আমির হোসেন গাজী আরও বলেন, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ কুদ্দুসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিতে গেলে পুলিশ ওই মামলা নেয় নি। পরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করলে শনিবার রাতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। আর এ ঘটনার পর থেকেই ওই ইউপি সদস্য ঘটনার স্বাক্ষী তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে পালিয়ে রয়েছেন। নিহতের মা কুলসুম বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোমড় ভাঙা, সারা শরীরে পিটনীর দাগ। এ ঘটনায় তিনি তার জামাতার ফাঁসী দাবী করেছেন। নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, যৌতুকের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস আমার বোনকে মারধর করে আসছে। বিয়ে হয়েছে ১০ বছর। বিয়ের দু’বছর পর থেকেই আমার বোনের বাপের বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয় দুলাভাই কুদ্দুস। তিনি আরও বলেন, শেষ বারের মত আমার ভাগ্নে ও ভাগ্নিকে তাদের মায়ের মরদেহ দেখানো হোক। আর সেজন্যই মরদেহ দাফন করা হচেছনা। পুলিশ তাদেরকে এখনও খুঁজে বের করছে না। এ ব্যপারে রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের ধারায় এ ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সঠিক তদন্ত করে এ ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে। পলাতক ইউপি সদস্য ও তার দুই শিশু সন্তানকে খুঁজে বের করা হবে বলেও জানান তিনি।