প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৩:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৫, ২০২০, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
রোকেয়া বেগমের ঈদ উদযাপন যেভাবে “রাঙিয়ে” দিলো পুলিশ
নিউজ ডেস্ক:
রোকেয়া বেগম।সাতক্ষীরা জেলার সন্তান সম্ভবা এক মায়ের নাম। সুপার সাইক্লোন আম্ফান আঘাত হানার রাতে প্রসব ব্যাথা নিয়ে সাতক্ষীরা শহরে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
অতি দরিদ্র পরিবারে বাস রোকেয়ার।অভাবের সাথে লড়াই সংগ্রামে জীবন চলে তাঁর। কিন্তু এই অসহায়ত্বের মধ্যে কিছু দিন আগে স্বামী তাঁকে ছেড়ে গিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছে। এরপর থেকে সব যোগাযোগ বন্ধ। হাতে টাকা নেই। কিন্তু সন্তান জন্মদানের জন্য হাসপাতালে যাওয়াটা যে তাঁর খুব দরকার। দারস্থ হলেন এক প্রতিবেশীর। তিনি ৬০০ টাকা ধার দিলেন। আর সেই টাকা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হন রোকেয়া।
হাসপাতালে রোকেয়ার কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি কণ্যা সন্তান। কিন্তু রোকেয়ার মুখে হাসি নেই। আছে রাজ্যর দুশ্চিন্তা। সন্তান জন্মদানের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট খরচ ২৬ হাজার টাকায় ঠেকেছে। কোথায় পাবেন এত টাকা?
এলাকার কয়েকজন স্বহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে এলেন।নিজেরা চাঁদা তুলে সামান্য কিছু টাকা তাঁকে দিয়েছেন। কিন্তু বাকী টাকার জন্য এদিক-ওদিক ঘুরেও কোন লাভ হয়নি। তখন রোকেয়া সাহায্যকারী একজনের পরামর্শে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। নিজের সমস্যার বিস্তারিত জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
ঘটনা শুনেই রোকেয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে পুলিশ। শুরুতেই হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সাত হাজার টাকা বিল কমানো হয়। এরপর বাকি ১৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে পুলিশ। রোকেয়া সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেলা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্তানসহ তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ। এ সময় ঈদ উপহার হিসেবে শিশুটির জন্য নতুন পোশাক,ফুল-ফল এবং রোকেয়ার হাতে কিছু টাকা প্রদান করে পুলিশ।
দুর্যোগের এমন দুর্দিনে বাংলাদেশ পুলিশের মানবিক সহযোগিতা পেয়ে রোকেয়া বেগম আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি মহান আল্লাহ কাছে দোয়া করেন।
সর্বদাই জনগণের পাশে, বাংলাদেশ পুলিশ।
সূত্র:BANGLADESH POLICE MEDIA, PHQ
[25 MAY 2020]
https://bd24news.com