রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গন্ডি ছাড়িয়ে এখন গোটা জেলা জুড়ে। মাদার অব
হিউম্যানিটি প্রধাননমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ শতভাগ সফল করার লক্ষে
প্রাণঘাতি নভেল কোভিট-১৯ 'করোনাভাইরাস' মোকাবেলায় তৃনমুলে সম্মুখ সমরের
এক যোদ্ধা হিসেবে নিজের নাড়ী ছেড়া ধন অবুঝ ৫ বছরের শিশু পুত্রকে মায়ের
স্নেহ-মায়া-মমতা থেকে বঞ্চিত করে ও প্রিয়তম স্বামীর সান্নিধ্যের দূরে
থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সূচনা লগ্ন থেকে তিনি মৃত্যুকে পরোয়া না করে
ভয়কে জয় করে নিরলসভাবে মাঠে লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি প্রাণঘাতি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে প্রবাসীদের হোম
কোয়ারেন্টাইনে রাখা,বাজার নিয়ন্ত্রণ,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতা
বৃদ্ধি করা ও লকডাউনের ফলে কর্মহীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে
প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন । মানবদরদী এ উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে মাত্র ৫ বছরের শিশু পুত্র ও পরিবারের
সান্নিধ্যকে দূরে রেখে প্রাণঘাতি করোনার বিরুদ্ধে সংসার,নাওয়া-খাওয়া ও
বিশ্রাম ভুলে রাত দিন একাকার করে এ ঘাতক ব্যাধির বিরদ্ধে অব্যাহত লড়াই
চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার যেখানেই করোনা রোগীর সংবাদ পান সেখানেই তিনি
ছুটে গিয়ে লকডাউন করা সহ এলাকাবাসীকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ ও রোগির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছেন।এছাড়া তিনি করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দাফন ও সৎকারের জন্য তৈরী করেছেন একটি
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই সংগঠনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৩ জন আক্রান্ত ও
সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দাফন কার্য সম্পাদন করেছেন। ইতোমধ্যে এ উপজেলায়
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের সঙ্গে থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে
প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী
পৌছে দিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস
বলেন,দেশের এ মহাদূর্যোগ মুহূর্তে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পাড়া
গৌরব ও আনন্দের। জীবনের ঝুঁকি তো রয়েছেই কিন্তু মানুষের এ বিপদসংকুল
মুহূর্তে ইচ্ছা করলেই স্বামী,সন্তান ও পরিবারের সান্নিধ্যে আশা করা
সমীচীন নয় । তিনি আরো বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের
নির্দেশনায় উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর মেয়র, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক
,ইউপি চেয়ারম্যান- মেম্বর, চৌকিদার, দফাদার ও আনসার ভিডিপি সদস্য সহ
সকলের সহযোগিতায় এই যুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করোনা নির্মূল না হওয়া
পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন 'মাানুষ মানুষের জন্য'
মানবতার এ মহান ব্রতি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে
যাবো। প্রসঙ্গত প্রণতি বিশ্বাস ৩০তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে
কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে নরসিংদিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে গাজীপুরে সহকারী কমিশনার ( ভূমি) হিসেবে
সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২ বছরের জন্য
সরকারী প্রশিক্ষনের জন্য জাপানে চলে যান। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি উজিরপুরে
প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। উজিরপুরে যোগদানের
পর থেকেই তিনি তার সততা.প্রজ্ঞা, মেধা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে
অল্পদিনেই এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক মহল থেকে সর্বমহলে একজন সৎ,দক্ষ ও
মানবতাবাদী চৌকস অফিসার হিসেবে আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন।