কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ফজলুল করিম ফারাজী
কুড়িগ্রাম জেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের অধিনস্থ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের মধ্যে একটি চর ঘনশ্যামপুর। দূর থেকে দেখলে মনে হয়,এ যেন এক ভিন্ন পৃথিবী। এখানে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। এই চরে বসবাসরতরা ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে একাধিকবার যুদ্ধ করে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাইতো বাধ্য হয়ে এই চরের জমির মালিকদের বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বসবাস করছেন একাধিক পরিবার। সেটারও মেয়াদ পরবর্তী বন্যা পর্যন্ত। পরবর্তী বন্যা আসলে আবারো তাদের অন্যত্র যেতে হবে। এমনি করে ভাঙা ও গড়ার মাঝেই চলছে তাদের জীবন।চর ঘনশ্যামপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধ তমছের উদ্দীন স্বাধীন বাংলা ১৬. কমকে জানান, নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে এখন অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকেন। করোনার কারণে কাজ বন্ধ। তাই অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকারের থেকে এখনো কোনো ত্রাণ পাননি।চর ঘনশ্যামপুরের আরো একজন বাসিন্দা মজিদ বলেন, ‘হামরা গরিব, নদী ভাঙ্গা মানুষ, হামার খোঁজ কাঁই নেয়?এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার সাথে কথা বললে তিনি জানান ‘আমরা অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ত্রাণ কম পেয়েছি। তাই সবখানে ত্রাণ দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ত্রাণ দেব।