বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে মাথা ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ফেরদৌসি বেগম (২৭)। ঐ দিনই সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়ার সমন্বয় ও পরিদর্শক রূপণ কুমার সরকার।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে এই ভয়ে ফেরদৌসি বেগম এর স্বামীর বাড়ীর ও বাবার বাড়ীর পক্ষের কোন লোকজনই তার লাশ বুঝে নিচ্ছিলেন না। ফেরদৌসি বেগমের স্বামী- আল আমিন এর বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার খাল্লা গ্রামে এবং তার বাবার বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার সলিমগঞ্জ গ্রামে। তার স্বামী ১০ বছর যাবৎ মালদ্বীপে থাকে। নরসিংদী পৌর এলাকার সালিধা হাসানের বাড়ীতে ৫ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।
পরবর্তীতে নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম এর নির্দেশে হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নেন নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সৈয়দুজ্জামান।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশ কবর খুঁড়া থেকে শুরু করে ওই নারীর দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নরসিংদী পৌর কবরস্থানে দাফন করার সময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী মডেল থানার ওসিসহ থানা পুলিশের সদস্যগণ।