মোঃ রায়হান আলী,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের মোঃ নুরুজ্জামান সাকিব (২৯) ও তার স্ত্রী মিতা খন্দকার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সাকিবের পিতা আজমল হোসেনের বাড়ির ৯ সদস্যকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তারের নির্দেশনা মোতাবেক ১ জুন সোমবার রাত পৌনে ১২ পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আমিরুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ওই বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
লকডাউনভুক্ত ৯ জন হলেন, সাকিবের পিতা আজমল হোসেন (৬৫), মা মোসাম্মাৎ জয়নব বেগম (৪৫), ভাই মোঃ রাকিব হোসেন (৩৩), রাকিবের স্ত্রী সুমাইয়া (২৫), ভাই সাব্বির হোসেন (২৮), সাব্বিরের স্ত্রী শারমিন খাতুন (২২), রাকিবের মেয়ে রাবেয়া (১৪), ছেলে রায়হান (১১) ও রুম্মান (২বছর ৬মাস)।হাসপাতাল ও রূপসা উপজেলা প্রশাসন
সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজমল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান সাকিব ও তার স্ত্রী মিতা খন্দকার গত ৩০ মে খুলনা চলে আসে। তারা চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে।
সেখানে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় ১ জুন তারা উভয়ে করোনা শনাক্ত হয়।তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্বামী-স্ত্রী এ দুইজন ঢাকা থেকে আসলেও তার গ্রামের বাড়িতে আসেননি। তবে সাকিব ও তার স্ত্রীকে দেখতে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যাতায়াত করায় তাদের বাড়ি লাল পতাকা লটকানোসহ লকডাউন করা হয়।
১ জুন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত ওই বাড়ির কোন সদস্য বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেনা। তাদের খাদ্য-খাবার স্থানীয় ইউপি মেম্বরের মাধ্যমে বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার সময় বাড়ির সামনে লাল পতাকাও টানিয়ে দেয়া হয়।