মুহাম্মাদ শোরাফ উদ্দিন (জেলা প্রতিনিধি)লক্ষ্মীপুরঃ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মানুষ কতটা নির্লজ্জ হলে বোনের সমতুল্য হিরা মনি কে ধর্ষণ করার পর হত্যা করতে পারে।
যখন সারা পৃথিবী এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, কোভিড-১৯ এর সৃষ্ট বিপর্যয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যেখানে বিপর্যস্ত। সেখানে কিছু দুর্বৃত্তরা সুযোগের অসৎ ব্যবহার করে অসহায় মা-বোনদের ইজ্জত আব্রু নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
শুধু তাই নয়, ইজ্জত হরণের পর খুন খারাবীর মত জঘন্য অপরাধ করে যাচ্ছে।১২ই এপ্রিল শুক্রবার দিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে স্কুল ছাত্রী হীরামণি কে ধর্ষণের পর শাসরোধ করে হত্যা একটি জঘন্যতম অপরাধ।
মিডিয়া তথ্য মতে জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় আরিফ ও সুমন নামে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে একথাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এরকম হাজারো বোন ধর্ষিতা হবে।
আমাদেরকে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান থাকবে, অতি শীঘ্র হীরামণি হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তা না হলে ইশা ছাত্র আন্দোলন মুক্তিকামী ছাত্রদের নিয়ে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে, ইনশাআল্লাহ।তিনি আরো বলেন- কিছুদিন আগে ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত হত্যা সহ সকল ধর্ষণ আর হত্যার বিচার যথাযথ হচ্ছে না বলে অপরাধীরা অপরাধ করেই যাচ্ছে।
আজকে যদি হীরা মণির ধর্ষণকারী এবং হত্যাকারীদেরকে লোকালয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, তবে কোন অপরাধীই আর এরকম অপরাধ করার সাহস পাবে না।অবশেষে তিনি ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- যদি ছাত্র-জনতা এক হয়, তাহলে এ ধরণের অন্যায় মোকাবেলা করে রাষ্ট্রকে একটি শান্তিপূর্ণ ধারায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
তাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-জনতাকে হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।পরিশেষে হীরা মনির আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং দেশে শান্তি ও মানবতার মুক্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।