আবু হানিফ, বাগেরহাট অফিসঃ
গত ১৪ ও ১৫ জুন বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই পানিবন্ধী এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন ঠিক তার ১দিন পরে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যেগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের শুরু থেকে এবং গত ১সপ্তাহের ভারী বর্ষনে প্রায় ১মাস ধরে আটকে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর কাজ শুরু করেছে ৩৫/১ পোল্ডারের ভেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়নকারী সংস্থা সি.এইচ.ডাব্লিউ নামের চায়নার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও বাঁধ বাস্তবায়নবারী সংস্থা উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি)।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, শরণখোলা থানার ঘাটের আটকে থাকা ড্রেনের মুখ থেকে বাঁধ কেটে পাইপ বসানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই (সোমবার বিকেলে) বাঁধ বাস্তবায়নকারী সংস্থা উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) কর্মকর্তাদের নিয়ে জলাবদ্ধ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পানিবন্ধি এলাকার মানুষের দুর্ভোগের দৃশ্যগুলো ধরা পড়ে।
বাঁধ বাস্তবায়নকারী সংস্থা উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হাসেন জানান, রায়েন্দা বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০টি ড্রেন নির্মাণ করা হবে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ড্রেনগুলোর কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ও গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি পানি জমে এবং বোর্ডের নির্মানাধীন ভেড়িবাঁধের কারনে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলোর মূখ বন্ধ হয়ে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের পিছন থেকে সরকারী খাদ্যগুদাম পর্যন্ত প্রায় তিনশত পরিবার পানি বন্ধী অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল।