আবু হানিফ, বাগেরহাটঃ
“বাতাসে লাশের গন্ধ” কালজয়ী কবিতার রচয়িতা তারুণ্য ও সংগ্রামের প্রতিক রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯১ সালের এই তারিখে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসভবনে আকস্মিক হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এ পৃথিবী থেকে প্রস্থান করেন।
তিনি “প্রতিবাদি রোমান্টিক কবি” হিসাবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি বাংলাদেশী শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি বরিশালে জন্মগ্রহন করেন। তার মায়ের নাম শিরিনা বেগম, বাবার নাম শেখ ওয়াালীউল্লাহ।
তার পৈএিক ও স্থায়ী নিবাস বাগেরহাট জেলার মংলা থানার মিঠেখালী গ্রামে। তবে পিতার কর্মস্থল ছিল বরিশাল। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
১৯৮০ সালে সম্মানসহ বিএ এবং ১৯৮৩ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। রুদ্র্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত কবি হলেও কাব্য চর্চার পাশাপাশি সঙ্গীত, নাটক, ছোটগল্পের ক্ষেত্রেও ছিলেন সমান উৎসাহী। রুদ্র্র চেয়েছিলেন বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক মানুষ তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাক।
প্রকৃতপক্ষে, ব্যক্তি রুদ্র ও কবি রুদের শিল্প সাধনা ছিল দেশ, মানুষ ও মানুষ্যত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্যসহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।
‘ উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম কাব্য দু’টির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।