কাঁচা এই রাস্তাটি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে যায়। ঘন বর্ষার সময় জল কাদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বর্ষাকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।
এলাকাবাসিরা জানান , গত ১৫-২০ বছরে এই ৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এক ডালি মাটিও পড়েনি । বর্ষাকালে এ রাস্তায় কর্দমাক্ততার কারণে হাঁটাও দায়। তবুও কর্দমাক্ত পিচ্ছিল এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন এই এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে।
কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নেতা আসে নেতা যায়; কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা আসলে প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাদের।
এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা জানায় জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র। ফলে অত্র এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণ নিয়েও পড়েন বিপাকে এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয় না তাদের।
কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসনের নিকট এলাকা বাসির প্রানের দাবী, শত বছরের পুরোনো এই রাস্তা টি চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক।