ফজলুল করিম ফারাজী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
একদিকে করোনা অপর দিকে বন্যায় মহা দূর্ভোগে দিন যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের অধিকাংশ চরাঞ্চলের মানুষ। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এই দুটি নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঅঞ্চলের অন্তত শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের, উত্তর কদম তোলা,সিতাইঝাড়, ছত্রপুরের কিছু অংশসহ বেশ কিছু গ্রাম পানি বন্দি হয়েছে। পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই গ্রাম গুলো পানি বন্দি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের মৌসুমী ফসল ও সবজি ক্ষেত।
এসব অঞ্চলের মানুষ কলাগাছের ভেলা এবং স্থানীয় নৌকায় করে উচু জায়গায় আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার মজিবর রহমান বলেন, হঠাৎ বন্যা আসার কারণে আমার দুই বিঘা জমির পাট ডুবে যাচ্ছে তাই পরিপূরক না হতেই পাট কেটে নিচ্ছি।
এবার পাট চাষে লাভ তো দূরের কথা আসলেই উঠবে কিনা জানিনা। ওই ইউনিয়নের নওয়াবশ গ্রামের আয়নাল হক জানান, গত দুইদিন ধরে আমার পরিবার পানি বন্দি হয়ে আছি বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না।
আমার নৌকা ও কলা গাছের ভেলা না থাকায় গত দুইদিন ধরে বাজারে যেতে পারছি না। আজ যেভাবেই হোক না কেন বাজার যেতে হবে না গেলে ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।