ফজলুল করিম ফারাজী , কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। এই চলমান বন্যায় ১৬৫ হেক্টর জমির ফসলি আবাদ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুঃশ্চিন্তার যেন শেষ নেই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কৃষকদের।
জানা যায়, নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম এ জেলা দিয়ে বয়ে গেছে ছোট-বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার বিভিন্ন সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। এ কারণেই কৃষকদের চাষ করা পাট, পটল ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ পড়েছেন নানান বেকায়দায়। কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদম তলা গ্রামের সবজি চাষী মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, আমার বিভিন্ন প্রকার সবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ অনেক কষ্ট করে পানিতে ভিজে কিছু পটল, বেগুন তুলে বাজারে বিক্রি করলাম দাম খুব কম।
তাছাড়াও দুই একদিনের মধ্যে জমি থেকে যদি পানি নেমেও যায়, তাও সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের যে কি হবে তা একমাত্র আল্লাহ পাক জানেন। ওই গ্রামের আরেক পটল চাষী মোঃ হযরত আলী বলেন,আমার দুই বিঘা জমির পটল সম্পুর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। একদিকে করোনার কারণে বাজারে ভালো মূল্য পাইনি,অন্য দিকে বন্যা এসে সব তলিয়ে গেল।
তাহলে আমরা কৃষকরা কি ভাবে বাঁচব বলেন। কুড়িগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পাট ৭০ হেক্টর, সবজি ক্ষেত ৫০ হেক্টর, বীজতলা ২৫ হেক্টর ও আউস ধান ২০ হেক্টর বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে।