ফজলুল করিম ফারাজী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শারমিন সুলতানার করোনা পজেটিভ ফলাফল আসায় ভয় আর আতঙ্কে আছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সবাই। জানা যায়, করোনা নিয়ে মৃত্যু ব্যাক্তির সংস্পর্শে থাকা নার্স শারমিন সুলতানার নমুনা সংগ্রহের পর হোমকোয়ারেন্টিনে না থেকে গত দুদিন শিফটিং ডিউটি পালন করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কুড়িগ্রামের প্রথম ব্যক্তি চিলমারীর বাসিন্দা এনজিও কর্মী খালিদ হাবিব মুকুল এর সংস্পর্শে আসায় গত ২০ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. যোবায়ের হোসেন ও নার্স শারমিন সুলতানাসহ বেশ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
নমুনা দেওয়ার পর ফলাফল আসা পর্যন্ত ডা. যোবায়ের যথারীতি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও নার্সিং সুপারভাইজার মজিবর রহমান নার্স শারমিন সুলতানাকে সিফটিং ডিউটিতে নিযুক্ত করেন। নমুনা দেওয়ার পর নার্স শারমিন সুলতানা দুই দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করেন।
রবিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় ডিউটি শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানতে পারে যে নার্স শারমিন সুলতানা ও করোনায় মারা যাওয়া এনজিও কর্মী খালিদ হাবিব মুকুলের স্ত্রী ও মেয়ে করোনা পজেটিভ। পরে তাদের হোম আইসোলেশনে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. যোবায়ের জানান, নমুনা দেওয়ার পরও ওই নার্স দুইদিন ডিউটি করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম নার্সিং সুপারভাইজার মজিবর রহমানের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ওই নার্সের নমুনা দেওয়ার বিষয়টি নার্সিং সুপারভাইজারকে অবহিত না করায় তাকে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। তবে কেন এমন ঘটনা হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।