কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইয়াবাসহ আটকের সময় ওই দুই নেতা ডিবি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (০৮ জুলাই) সন্ধ্যায় দক্ষিন সাদুল্যা গ্রামে। জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সাদুল্যা ঈদগাহ মাঠে মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে থাকা চিলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বাচ্চু মিয়া (৩২) ও মেহেদী হাসান রঞ্জু (৩০) সহ আরও কয়েকজন গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও ওই দুই নেতা ৩০পিচ ইয়াবাসহ আটক হন।
পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ওই দিন রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আটক বাচ্চু মিয়া চিলমারী উপজেলার ছামছপাড়া গ্রামের কাচু মিয়ার ছেলে ও মেহেদী হাসান রঞ্জু মাচাবান্দা আদর্শপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
তারা উভয়েই চিলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। এ প্রসঙ্গে চিলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাহবুবুর রশীদ বিপ্লব জানান, বাচ্চু মিয়া ও মেহেদী হাসান রঞ্জু উপজেলা আহবায়ক কমিটি সদস্য। মাদকসহ ওই দুই নেতা আটকের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটক দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে আসছিলেন।