প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৬:১৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১১, ২০২০, ২:২৯ পূর্বাহ্ণ
লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী পরিবারের বৃদ্ধ বিধবা রহিমা খাতুন, তার মেয়ে রত্না বেগম, রায়হান, রাব্বি, গুরুতর আহত হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতের পরিবার থানায় মামলা করলে হামলাকারীও পাল্টা মামলা দায়ের করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ডে রসুলগঞ্জ বাজারের দক্ষিণী ঈদখোলা এলাকায় কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের পরিবার ও সদর থানা মামলার সুত্রে জানা গেছে কবিরাজ বাড়ির রফিক আহমেদের দুইছেলে মনির হোসেন ২০বছর থেকে সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছে, আরেক ছেলে মাসুম ৮বছর থেকে কাতার কর্মরত রয়েছেন, গত সাত মাস আগে রফিক আহমেদ মৃত্যু বরণ করেন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে (১৪মে) বৃহস্পতিবারে জমি দখলের উদ্দেশ্য গাছ গুলো কাটছিল, গাছ কাটার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধাদিতে গেলে রায়হান ও রাব্বিকে মারধর করে আবদুল মমিন গংরা, এই ঘটনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগের খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে (১৫মে) শুক্রবার দুপুরে বৃদ্ধ বিধবা রহিমা খাতুন, তার মেয়ে রত্না বেগম, রায়হান, রাব্বিকে নিজ বসত ঘরের সামনে ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আবদুল মমিনসহ তার বাহিনীর মাহফুজ, আজাদ হোসেন, রুবেল, মহিম, জসিম, মুরাদ হোসেন, আল-আমীন, আরাফাত, মাসুদ, হামলা চালায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে যার রেজিষ্ট্রেশন নং (২৭৬০/১৮) (২৭৬১/১৯) (২৭৬২/২০) (২৭৬৩/২১)।
এ ঘটনায় প্রবাসীদের বোন রত্না বেগম বাদি হয়ে আবদুল মমিনসহ দশ জনকে আসামি করে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৮০/৪২৭/৫০৬/ধারার অপরাধে অভিযুক্ত করে দেড় লাখ টাকা খতির পরিমান উল্লেখ করে, মামলা দায়ের করেন সদর থানা নং৬ জিআর ২২০/২০ ১নং আসামি আবদুল মমিন ছাড়া বাকি জামিনে আছেন বলে জানান, বিবাদীরা।
রত্না আরো বলেন,এ ঘটনায় আমি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করি। থানায় মামলা করার পর হামলাকারীরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন বর্তমানে আমরা খুব আতঙ্কে জীবন কাটাচ্ছি যে কোন সময়ে হামলা,মামলা খুন গুমের শিকার হতে পারেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এদিকে মামলার ২নং সাক্ষী রায়হান হোসেন জানান, বিবাদীরা আমাদের কে মারধোর করে হাতে থাকা সিম্ফনি আর-১০০ মডেলের ফোন ও ভিভো-১৬০৬ মডেলের নিয়ে যায় উক্ত মোবাইল ফোন থেকে ব্যবহারিত ফেইসবুক rafiyan rayhan পাসওয়ার্ড বদলিয়ে বিভিন্ন মেয়ের ছবি দিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে চলছেই এতে আমাদের পরিবারের লোকজনের সন্মান নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে আমি সদর থানা জিডি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তদন্তের মাধ্যমে মোবাইল গুলো উদ্ধার করে আমাদের পরিবারের সন্মান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে নিরাপদে চলার নিশ্চিতা নিশ্চিত করেন।