গত কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে তবে গত ২৪ ঘন্টায় থেমেছে তিস্তা, করতোয়া এদিকে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদ-ঘঘট নদী উত্তাল হয়ে উঠছে এ দুই নদ -নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ দুই নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে -সোমবার(১৩জুলাই)সকাল ৬টায় পানি বৃদ্ধি হ্রাসের রেকর্ডকৃত
তথ্য অনুসারে ফুলছড়ি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি পূর্ববর্তী ১৫ঘন্টায় ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার
(১৩জুলাই) সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যারফলে ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে
ও পাশ্ববর্তী গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।এরই মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ৩নং
উদাখালী ইউনিয়নের উদাখালী আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে এছাড়া ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজ ফুলছড়ি সিনিয়র
আলিম মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফুলছড়ি বাজারের একাংশে বন্যার পানি উঁকি দিচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে এ উপজেলার উড়িয়া,
কাবিলপুর,
ভাষারপাড়া,ছাতারকান্দি,কাবিলপুর,বুলবুলির চর,কাউয়াডাঙ্গা,উজালডাঙ্গা, কৃষ্ণমনি ও পূর্ব খাটিয়মারী গ্রামে পানি
প্রবেশ করেছে।পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসকল এলাকার অন্তত ৬হাজার
মানুষ।এসকল এলাকার বানভাসী মানুষ এরই মধ্যে নিকটবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ
বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।এসকল এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও জানা গেছে,
বন্যায় এসব এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর। ভেসে গেছে ফসলী জমি, মাছের খামার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো।গরু- ছাগল ও শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
তাছাড়া করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খাটাখালী পয়েন্টে গত ১৫ ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।