বরিশালের উজিরপুরে স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহায় স্ত্রী এক সন্তানের জননী স্বামী ও কাজীর বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের আঃ লতিফ সরদারের ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী (৩৮) ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ১৭ বছর পূর্বে গৌরনদী উপজেলার লক্ষণকাঠী গ্রামের রোজিনা বেগম(৩০) কে বিয়ে করেন।
তাদের সংসারে ১৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী আইউব আলী। কিছুদিন পূর্বে এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলনের কথা বলে তাঁকে নিয়ে বামরাইল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোঃ ছালেহ খলিফার নিকট যান।
এরপর গত৮ মে তার স্বামী তাকে বেদম মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন এবং তাকে জানান সে (স্ত্রী) তাকে স্বেচ্ছায় তালাক দিয়েছেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রোজিনা বেগম বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন।
সুস্থ হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় রোজিনা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আইয়ুব আলী সরদার, দেবর জসিম সরদার, জা লিপি বেগমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামী মোঃ আইউব আলী সরদার, নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোঃ ছালেহ খলিফার বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে যৌতুকলোভী স্বামী আইউব আলী সরদার তড়িঘড়ি করে নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এব্যাপারে অভিযুক্ত আইউব আলী জানান, তার স্ত্রী তাকে স্বেচ্ছায় তালাক দিয়েছে। তাই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রার সালেহ খলিফা জানান, ভুল বুঝিয়ে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি, সে স্বেচ্ছায় তালাক নামায় সাক্ষর করেছে।