এর পূর্বে তিনি করোনা প্রতিরোধে এ উপজেলার মাঠ পর্যায়ে এক জন সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। ডা. এসএম কবির হাসান জানান, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে ও কর্মস্থলে বসে নমুনা সংগ্রহ করাসহ তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
এমনকি করোনার এ দুঃসময়ে সেবা দিতে তিনি সার্বক্ষনিক বানারীপাড়াবাসীর পাশে থাকার জন্য প্রিয়তমা স্ত্রী ও প্রাণপ্রিয় দু'শিশু সন্তানকে বরিশাল শহরের বাসায় রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স 'ঘরবসতি' গড়ে তুলেছিলেন।
কিন্তু এরই মধ্যে তিনি ১৩ জুন কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় করোনা সন্দেহে নিজের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ দিন তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে চলে যান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এদিকে তার এক মাত্র শিশু কন্যা জারিন হাসান (৫) জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে তার স্ত্রী লায়লা আনজুমান ও এক মাত্র ছেলে জাওয়াদ হাসান (৯) জ্বরে আক্রান্ত হন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
ডা. এসএম কবির হাসান জানান, করোনা সন্দেহে এ উপজেলায় মোট ২০৬টি নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট রিপোর্টের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৩৯ জনের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও তার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৪ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।