প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৭:১২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৮, ২০২০, ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ত্রানের জন্য হা হাকার
জামালপুরে যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যেই বন্যার পানিতে ডুবে আছে সাত উপজেলার আট পৌরসভা ও ৫৯ টি ইউনিয়ন।প্রায় এক মাস যাবত বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৭ জন মানুষ।বন্যা দূর্গত এলাকায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কসহ ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ।
তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটসহ ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগবালাই।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রক্ষপুত্রর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।
পানিতে ডুবে গেছে বেশ কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।পানিতে তলিয়ে আছে গ্রামীণ হাট-বাজার,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে নয় হাজার হেক্টর ফসলের জমি,গো চারন ভুমি,বসতবাড়ি।দূর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। গো খাদ্যের অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানায়,জেলার ৯০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ হাজার ২৮৪ জন বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।ইতোমধ্যে সদর উপজেলার জামতলী এলাকায় একটি ব্রিজ,সরিষাবাড়ি উপজেলার শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ২০০ মিটার ঝিনাই ব্রিজের মাঝখানের তিনটি স্পেন ও শিশুয়া ঝিনাই ব্রিজের ৩০ মিটার সংযোগ সড়ক তীব্র স্রোতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মাদারগঞ্জে ৭০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে গেছে।এছাড়াও ১৫ হাজার বসতঘর পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।৬৭৭ টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৪ টি পরিবার পানিতে নিমজ্জিত।পানির নিচে তলিয়ে আছে ৫ হাজার ৯৭টি নলকূপ ও ৬ হাজার ২৯৫ টি ল্যাট্রিন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫১০ মেট্রিকটন চাল,নগদ ২৪ লাখ টাকা, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার,২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৬ লাখ টাকার গো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।জেলায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জামালপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গত এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৮৪ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
https://bd24news.com