হা-ডু-ডু’তে দমধরা, বউচি’তে ডানপিটে শিশুটি ছিল সবার সহযোগী এক বান্ধবী। হই-হল্লা করে বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখা মেয়েটি ছিল হাসি-খুশি প্রাণ সঞ্চালক। বন্ধু আর বান্ধবীদের পছন্দের কাজটি গুছিয়ে সাজিয়ে দিত এই মেয়েটি।
আজ ফ্যাকাশে তার শরীরের রঙ। বিবর্ণ অবয়বে বেঁচে থাকার নিশ্চুপ এক আকুতি। সেই মেয়েটির নাম সাদিয়া ইসলাম রিয়া। সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। পেট কেটে বের করা হয়েছে ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া।
তার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন সিএনজি চালক। মা সানোয়ারা মবিন গৃহিণী। বাস করেন পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়। নেই মাথাগোঁজার একটু ঠাঁইও। সেখানে দুই মেয়ে আর এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কোভিড-১৯ দুর্যোগের আগে ডাল-ভাতে চলছিল সুখের সংসার। হঠাৎ পেট ব্যথা মেয়ের।
সেই ব্যথার যন্ত্রণায় শুধু বাবা-মা নয়, প্রতিবেশীরাও কেঁদেছেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় ছুটে চলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়ায় পাঠানো হয় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে তার অপারেশনের বের করা হয় ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার।
টিউমার অপারেশনের পর সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় ক্যান্সারের জীবাণু। চিকিৎসকরা বলেছেন, চিকিৎসাতে মেয়েটি ভালো হয়ে উঠবে। প্রয়োজন ১৫টি কেমো থ্যারাপি। কিন্তু সিএনজিচালক বাবার পক্ষে সেই কেমো দেয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই। মায়াবী চেহারায় আকাশের পানে তাকিয়ে থাকে রিয়া।
বাবার সামর্থ্য নেই, তাতে কী; সে বেঁচে উঠবেই। খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে বেঁচে থাকতে চায় রিয়া। তাকে সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরাও এগিয়ে এসেছেন। শেষ হয়েছে ৫টি কেমো থ্যারাপি। আর ১০টি কেমোর জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ লাখ টাকা। আর দৈনন্দিন ওষুধের জন্য দরকার ১ লাখ টাকা।
মাত্র ৪ লাখ টাকা হলেও বেঁচে যাবে রিয়া! রিয়ার হাসিমুখ দেখতে আপনিও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। সেই সহযোগিতায় রিয়া আবারও হাসবে, খেলবে,লেখাপড়া করবে,ফিরবে প্রিয় বান্ধবীদের খেলার দলে।
তার বাবার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে।
যার নং ৩৩০৯২০১০১৮৬৮৭