গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও কমেনি বন্যার্তদের দুর্ভোগ।
গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম
থেকে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ৪৮ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ৩ সেন্টিমিটার
বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় গত ২৫ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়। এতে নিম্ন
ও চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। এ কারণে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
আর এ দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে জেলার প্রায় ৭টি
উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি।
পানিতে ভেসে গেছে ৬ শতাধিক
পুকুরের মাছ।
নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কামারজানির গোঘাট গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার
শতশত ঘরবাড়ি। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সহস্রাধিক হেক্টর আবাদি জমিও
বিলীন হয়েছে।বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
সম্প্রতি বন্যার পানি কমতে থাকলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষরা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা যায় , ‘নদ-নদীর পানি নামতে শুরু করলেও তবে ঘরে রয়েছে হাঁটুপানি। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এখনো বাড়ি ফিরতে পারিনি তারা।
গাইবান্ধা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বাংলা খবরকে জানান, এ পর্যন্ত জিআর ৬০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।