সিঁদ কেটে চুরি শরণখোলায় নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। রাত পোহালেই উপজেলার ৩৬ ওয়ার্ডের কোথাও না কোথাও আসছে চুরির খবর। চুরির আতংঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। গত তিন মাসে উপজেলায় ছোট বড় শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাতে উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামে পাঁচ বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি হয়েছে। এসব ঘটনায় মাদকের করাল গ্রাস ও প্রশাসনিক উদাসীনতা কে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার একই রাতে রাজেশ্বর গ্রামের হাকিম খান, সৈয়দ হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, মিজান জোমাদ্দার ও ওমর জোমাদ্দারের বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ পাঁচ বাড়ী থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানায় তারা।
গত তিন মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বাড়ীতে চুরির ধরণ ও প্রকৃতি অনুসন্ধান করে জানা গেছে, অধিকাংশ চুরির ধরণও একই রকম। প্রত্যেকটি বাড়িতে একই ধরণের সিঁদ কাটা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বাড়ী থেকে চোরেরা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে সংঙ্গবদ্ধ চক্রের সদস্যরা অবস্থা ও পরিবেশ বুঝে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে হানা দিচ্ছে। এসব চোরেরা মোবাইল ফোনকেই টার্গেট করছে বেশী। এর সাথে নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার লুটছেন।
উপজেলার ধাণসাগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম টিপু জানান, তার ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে কয়েকটি দোকানে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে।
কিন্ত কোন চুরির রহস্য উদঘাটন হচ্ছে না। গ্রেফতার হচ্ছে না কেউ। চুরির আতংঙ্কে গ্রামের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংয়ে তিনি বার বার অভিযোগ করলেও কোন ফল হয়নি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এম. সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, মাদক ও ইন্টারনেট আসক্তির প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান তিনি।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এসব চুরির সাথে মাদকের করাল গ্রাস ও ইন্টানেট আসক্তির যোগ সুত্র রয়েছে। নেশা ও ইন্টারনেটের টাকা যোগার করতে কিশোর অপরাধীরা এসব চুরি করছে বলে তিনি অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ এস. কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, ইতি মধ্যে কিছু চিহ্নিত চোর গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকের বির“দ্ধেও অভিযান চলছে। চুরি প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পেট্রলিং নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।