প্রতি বছর কুড়িগ্রামে বন্যা হয় এটাই স্বাভাবিক। কুড়িগ্রামে বন্যা কৃষকের জীবনের অংশ বিশেষ। এ জেলায় ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী রয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারের বন্যায় কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার ফসলি আবাদ
বন্যার পানিতে তলিয়ে ১৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণেই দুঃশ্চিতার যেন শেষ নেই এ জেলার কৃষকদের।
এ বছর বন্যায় কুড়িগ্রাম ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লক্ষাধিক
মানুষ পানি বন্দি হয়েছিল। বন্যার কারণে বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকেরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষ করা পাট,পটলসহ
বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকায় কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে,
দুই দফা বন্যায় কুড়িগ্রামে ১১ হাজার ৬শ হেক্টর জমির পাট, বীজতলা, ও বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ আনুমানিক ১৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান
স্বাধীন বাংলা১৬.কম-কে জানান, কুড়িগ্রামে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় প্রায় ১১ হাজার
হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪০ কোটি টাকার অধিক।
লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ
থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়াও
সরকারিভাবে কৃষকদের আমন রোপন করার জন্য আমনের চারা বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।