বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা বাজার সংলগ্ন ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হওয়া সেই আয়রণ ব্রিজটি সংস্কার করে দিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা।
দৈনিক কালের কন্ঠ ও আজকের বার্তা সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ দেখে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে তাৎক্ষনিক তিনি বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদারকে ব্রিজটি সংস্কার করে দিতে নির্দেশ দেন।
তাঁর অর্থায়নে ১১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রিজটি সংস্কার করে দেয়। প্রসঙ্গত উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা বাজার সংলগ্ন আয়নণ ব্রিজটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছিলো।
শের-ই বাংলা বাজারের দক্ষিণ পাশের লঞ্চঘাটে যেতে ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। বাজার সংলগ্ন ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের মাঝের বেশিরভাগ অংশের স্লাব ভেঙ্গে পড়ায় জনসাধারণকে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিলো।
ওই এলাকার বেশিরভাগ কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী সরকারি কলেজ,ফজিলা রহমান মহিলা কলেজ ও শহিদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত। আবার এখানকার বেশিরভাগ পরিবার তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে এবং বিয়ে সহ যেকোন অনুষ্ঠানে মার্কেট করতে সীমান্তবর্তী স্বরূপকাঠী,মিয়ারহাট ও ইন্দেরহাট বাজারে যাতায়াত করে থাকেন।
লঞ্চে চড়ে ওইসব স্থানে যেতে তাদেরকে ওই ব্রিজটির ওপর দিয়েই লঞ্চ টার্মিনালে যেতে হয়। ব্রিজটির অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছিলো যে তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করতেন স্থানীয়রা। তাদেরকে আতঙ্ক নিয়ে ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে হতো।
এদিকে ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হওয়া ব্রিজটি সংস্কার করে জন দূর্ভোগ নিরসন করায় স্থানীয় এলাকাবাসী জনবান্ধব সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগনের কল্যানের জন্য রাত-দিন একাকার করে দেশ প্রেম,সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার দুঃখি-বঞ্চিত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য কাজ করছি এবং আমৃত্যু করে যাবো।