আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ যেন বিনষ্ট না হয়। চিরায়ত ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের মূল্যবোধ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
যে কোনো স্বার্থান্বেষী সুযোগ সন্ধানী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথরেখা কালিমা লেপনের সব দুয়ার বন্ধ করাই হবে এবারকার ১৫ আগস্টের শপথ। গতকাল বিকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলের প্রেসিডিয়াম ও সম্পাদকমণ্ডলীর অনির্ধারিত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, মৃণাল কান্তি দাস, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ডা. রোকেয়া সুলতানা, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, সায়েম খান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারের সুনাম যেন নষ্ট না হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি একই সঙ্গে দেশের সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতিও জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানান।
সততা, সফলতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপস্থিত সবার পক্ষে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
বিডি প্রতিদিন//