গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর আব্দুল মতিন মিয়ার নামে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। জানাযায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিন মিয়া।
তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরই মধ্যে অহেতুকভাবে সরকারের প্রদত্ত সুবিধা ভোগ করা জন্য সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগসাজস করেন।
এরপর ভূয়া শ্রবন প্রতিবন্ধী সেজে সামাজসেবা কার্যালয় থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহন করেন সুচতুর মতিন মিয়া। আর সেই কার্ড দিয়ে তার নামে করা হয় প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড। অথচ মতিন মিয়া কোন ধরনের প্রতিবন্ধী নয়, তিনি একজন শারীরিক সম্পন্ন সুস্থ ব্যক্তি। অথচ প্রকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজসেবা অফিসে মাসের পর মাস ঘুরেও ভাতা কার্ডেও সুবিধা পাচ্ছে না।
এমনি কর্মকান্ড চলতে থাকলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষ্ন্নুসহ ভেস্তে যাবে মহোতী উদ্যোগ। এ বিষয়ে আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, সেই সময় প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগী পাওয়া যায়নি, বিধায় আমার নামে করা হয়েছে। এখন এটি পরিবর্তন করে অন্য সুবিধাভোগী প্রতিবন্ধীকে দেওয়া হবে।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন সরকার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মতিনকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায় বলেন, আব্দুল মতিন মিয়ার নামে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এখনও টাকা উত্তোলন করেনি।