বাগেরহাটের শরনখোলায় ছাগলে বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মোঃ জাকির হোসেন জোমাদ্দার (৫০) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় উপজেলার ধানসাগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুমুর্ষ অবস্থায় ওই কৃষককে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য’ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সন্ধ্যা ০৭:৩০ মিনিটের সময় তিনি মারা যান। নিহত জাকির একই গ্রামের মৃত: সোমেদ জোমাদ্দারের ছেলে। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছেন।
নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির ও স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, তাদের একটি ছাগল পার্শ্ববর্তী কৃষক হুমায়ুনের বীজ তলায় গেলে প্রতিবেশি মন্টু জোমাদ্দারের ছেলে ছাগলটির গায়ে কাঁদা মেখে দেয়। বিষয়টি কৃষক হুমায়ুনের নজরে পড়লে তিনি বিষয়টি জানার জন্য মন্টু জোমাদ্দারের কাছে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথার কাটা শুরু হয়।
ওই সময় জাকির প্রতিবাদ করলে মন্টু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে শালিস মিমাংশার কথা বলে প্রতিবেশি মৃত: হালিম জোমাদ্দারের ছেলে মন্টু জোমাদ্দার (৩২) জাকিরকে তার বাড়ি থেকে পল্লীমঙ্গল এলাকার ব্যবসায়ী তার ভাই সেলিম জোমাদ্দারের দোকানে ডেকে নেয়।
বিষয়টি নিয়ে সেখানে পূনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হলে মন্টুর নেতৃত্বে তার ভাই সেন্টু জোমাদ্দার (৪২), সেলিম জোমাদ্দার (৫৬) এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার মোড়েলগঞ্জের নিশান বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আঃ ছত্তার খানের ছেলে মিলন খান (৩৩) ও সোহেল খান (৩২) সহ ৫/৬ জন এক জোট হয়ে জাকিরকে বেধাড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে জাকিরের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিছুক্ষন পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। তবে ঘটনার পর প্রতিপক্ষরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্ততি সহ দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।