বরিশালের বানারীপাড়ায় রাক্ষসী সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তান্ডব কিছুতেই থামছেনা। বছর জুড়েই নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন চলতে থাকে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন আরও রুদ্ররূপ ধারণ করে বসতভিটা,ফসলি জমি,হাট-বাজার,রাস্তাঘাট,শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ফলে ভিটেমাটি সহ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়ছে শত পরিবার। সব হারানো এসব পরিবারের সদস্যদের চোখে এখন কেবলই ঘোর অমানিশার অন্ধকার আর কান্নার সাঁতার। উপজেলার মিরেরহাট,লস্করপুর ও মসজিদবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে নদীর ভাঙনে এ রুদ্ররূপ ধারণ করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
ভাঙনের ধারাবাহিকতায় বুধবার গভীর রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চাখার ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে চাউলাকাঠি এ রব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ ও তৎসলগ্ন পাকা রাস্তা নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন বিলীণ হওয়ার পথে রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার ৪/৫ টি বসত বাড়ি নদী গ্রাস করে ফেলেছে।
ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি।এর আগে গত কয়েকদিনে উপজেলার চাখার ইউনিয়নের হক সাহেবের হাট ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা, কালির বাজার, সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ি, নলশ্রী, বাইশারী ইউনিয়নের উত্তরকুল,নাটুয়ারপাড়,শিয়ালকাঠি,উত্তর নাজিরপুর এবং সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ ও ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামে ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে।
এসব এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদী গ্রাস করে ফেলেছে। এদিকে শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের প্রতিষ্ঠিত চাখারের হক সাহেবের হাট ও বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর নাজিরপুর গ্রামে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুকের বসতবাড়ি এবং উত্তর নাজিরপুর 'গুচ্ছ গ্রাম' নদীতে যেকোন সময় বিলীণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী সংশ্লিষ্টদের প্রতি শুধু প্রতিশ্রুতি নয় নদীর ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।