বরিশালের বানারীপাড়ায় ঘর বাধার শুরুতেই এক নব দম্পতি পদে পদে হয়রানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নববধু মোসা.ফারজানা বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের বলদিয়া ইউনিয়নের আরিফের সঙ্গে ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার বরিশাল আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এবং ২৬ আগস্ট বুধবার উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের কাজী মো. জাহিদ হোসেন'র কাছে রেজিষ্ট্রী করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ফারজানার বাড়িও বলদিয়া ইউনিয়নে। বর্তমানে তারা বানারীপাড়ার বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় গ্রামের (৭নং ওয়ার্ড) মো. শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের নিজ ইচ্ছায়। শাহাদাত হোসেন ফারজানার স্বামী আরিফের নিকট স্বজন।
তাদের বিবাহের বিষয়টি উভয়ের পরিবার জানেন বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন ফারজানা। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে ফারজানা ও আরিফের বিবাহের পর থেকে ফারজানার চাচাতো চাচা হুমায়ুন কবির (চাঁন) তার (ফারজানা) পিতা মাতাকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রভাবিত ও উসকানী দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া চাঁন ফারজানার স্বামী আরিফের পরিবারকেও বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এমনকি আরিফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (মুরগীর ফ্রাম) জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকিও দিচ্ছেন। চাঁনের অব্যহতভাবে হুমকির কারণে নব দম্পত্তি আরিফ ও ফারজানা বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে আরিফের পিতা মো. মিন্টু মিয়া জানান,তার ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং নিজে ব্যবসা পরিচালনা করছে,সে জীবন সাথী হিসেবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজনকে বেছে নিয়েছে। এতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ভিন্নমত নেই।
এদিকে হুমায়ুন কবির চাঁন মুঠোফোনে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে বলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে স্বরূপকাঠির উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং বানারীপাড়ার বিশারকান্দি ও ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয়ের কাছ থেকে তার সম্পর্কে জানতে বলেন।