পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় আছে প্রেমিকা শান্তা আক্তার (২৪)। প্রেমিকের নাম লালচাঁদ। প্রেমিক লালচাঁদ শামুকজানি চরপাড়া গ্রামের রাহেদ খাঁ এর ছেলে। তিনি (প্রেমিক লালচাঁদ) ঢাকা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
অনশনরত প্রেমিকার বাড়ি বেড়া উপজেলার সানিলা শাহপাড়া গ্রামের আতোয়ার প্রামানিকের মেয়ে। শামুকজানি গ্রামের মৃত ছাত্তার মোল্লার নাতনি। প্রেমিক লালচাঁদ মেয়েটির সম্পর্কে মামাতো ভাই হয় বলে জানা যায়। প্রেমিকা শান্তা আক্তার বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরের পুরনো সম্পর্ক তাদের।
৪ বছর আগে শান্তাকে বিয়ে দেন তার বাবা মা এবং তার একটি পুত্র সন্তান আছে। বিয়ের পরেও লালচাঁদ শান্তাকে বিয়ে করবে ১ বছর আগে বিয়ের বিচ্ছেদ করায় এবং তার কথা অনুযায়ী নানা বাড়িতেই শামুকজানিতে থেকে যায়। লালচাঁদ প্রতিরাতে সেখানে আসা যাওয়া করতো। এভাবে চলতে থাকলে লালচাঁদের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে।
এরপর লালচাঁদ সানিলা শাহপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া করে শান্তাকে নিয়ে থাকতে শুরু করে। বাসা ভাড়া থাকাকালীন সময়ে লালচাঁদ মাঝে মধ্যেই২/১ দিনের জন্য ঢাকায় কলেজে আসা যাওয়া করতো। তার পরিবারের লোকজন জানতো লালচাঁদ ঢাকাতেই পড়াশোনা করছে।
এর কয়েক মাস পর শান্তা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং রেজাল্ট বের হোক বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। লালচাঁদ এর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে এবং লালচাঁদকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেখান থেকে চলে যেতে। গত (৩১ আগষ্ট) সোমবার ভাড়া বাসা থেকে গোপনে সে পালিয়ে যায়।
পালানোর সময় প্রমাণ স্বরুপ ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং কিছু পরিধানের কাপড় রেখে যায়। এব্যাপারে প্রেমিক লালচাঁদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে করমজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাগচী বলেন, এখন প্রায়ই এধরণের জঘন্যতম কাজ করে থাকে ছেলে মেয়েরা। এ ধরনের ঘৃনীত কাজের সাথে জড়িত কাউকে আমি সমর্থন করি না। এদের সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ। আমি এদের শাস্তি কামনা করছি।