বরিশালের বানারীপাড়ায় অপহৃতা ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১৫)কে ১৭ দিন পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের গোয়ালিয়া গ্রাম থেকে থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের গোয়ালিয়া গ্রামের নানা দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে থেকে স্থানীয় মলুহার জসিম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে লেখা পড়া করতো ভিকটিম।
একই বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওই কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে গত ১৬ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ভিকটিমের নানা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অপহারক শরিফুল ইসলাম(১৯).তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম(২৪),বাবা সিরাজুল ইসলাম(৫৫) ও মা হোসনেয়ারা কাজল(৫০)কে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় অপহরনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
শরিফুল ইসলাম গত ১৭ দিন ভিকটিমকে ঢাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরিবারের সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে ভিকটিমকে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলে বাদী বিষয়টি বানারীপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায় অপহরণ নয় প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে মোহ ভঙ্গ ও মামলা হওয়ায় ভিকটিম ফিরে এসেছে।