নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ-৬,(রাণীনগর-আত্রাই) আসনে উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনিত প্রার্থী ঘোষনা করেছে আওয়ামীলীগ। এআসনে নৌকার মাঝি হিসেবে রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে দলের মনোনীত প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। এদিকে তফশিীল ঘোষনা করা হলেও এখনো প্রার্থীতা চুড়ান্ত করতে পারেনী বিএনপি। তবে এআসনে দলের মনোনয়ন ও ধানের শীষ পেতে বিএনপি’র প্রায় এক ডর্জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে।
গত ২৭ জুলাই এই আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। এর পর আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে মরহুম এমপি ইসরাফিল আলমের সহধর্মিনী সুলতানা পাররভিন বিউটি, রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল,নওগাঁ জেলা আওয়ামী সে”ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যড: ওমর ফারুক সুমন,রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নওশের আলী,অতিরিক্ত সচিব(সাবেক) ড: মো: ইউনুছ আলী, মেজর(অব:) আব্দুল জলিল,ঢাকা মহানগর(উত্তর) শ্রমীক লীগের যুগ্ন আহব্বায়ক ও রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ আলী দুলালসহ ৩৪ জন দলীয় মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন। গত ২৩ অক্টোবর দলীয় মনোনয়ন জমাদান শেষ হলে সোমবার দলটি দলীয় মনোনিত প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হোসেন হেলালকে চুড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষনা করে।
এদিকে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে এবং মনোনয়ন পেতে বিএনপি থেকে চার দলীয় জোটের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির,তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন বুলু,তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন আহব্বায়ক এছাহক আলী, কর্ণেল (অব;) আব্দুল লতিফ খাঁন,আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম রেজু শেখ্,যুগ্ন আহব্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেলাল, রাণীনগর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আল ফারুক জেমস,নওগাঁ জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহব্বায়ক এ্যাড: রফিকুল ইসলাম,সদস্য শুকুর আলী,রতন মোল্লাহ এবং আত্রাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রজার মোল্লাসহ আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রাণীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী গোলাম কবির ও আত্রাই উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: মোফাজ্জল হোসেন এর নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইন্তেখাব আলম রুবেল এই আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য,গত ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর নির্বাচনে বিজয়ী হন । এর পর ২০০১ সালে নির্বাচনে পুনরায় আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন এবং একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এর পর ২০০৮ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন সদ্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম এমপি। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বনদ্বীতায় এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে পূনরায় বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম।
মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষনা করে আাগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহনের দিন ধার্য করে তফশিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।