সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দ্রততম সময়ে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনের দাবীতে ১৩সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে মোংলার চৌধুরীর মোড়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এবং মোংলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন মোংলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুজন’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূর আলম শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহসিন হোসেন, মোংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান গাজী, নাগরিক সমাজের নেতা মোঃ নাজমুল হক, মোঃ মনির হোসেন, কমলা সরকার, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম ব্যাপারী প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মোংলা পোর্ট পৌরসভার কোন নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমান পৌর মেয়রের নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। নেতৃত্ব’র বিকাশ, সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব জটিলতা নিরসন করে দ্রততম সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন দিতে হবে।
পৌর নির্বাচন দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন।
বক্তারা বর্তমান পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জনগনের রায় ছাড়া জগদ্দল পাথরের মতো চেয়ার আকড়ে থাকা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। বক্তারা এই মুহুর্তে পৌর মেয়রের পদত্যাগ দাবী করে দ্রততম সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন দাবী করেন। সমাবেশের এবং সুজন মোংলার সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার সমাপনী বক্তব্যে বলেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই।
তা না হলে মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহে ভাটা পড়বে, সেই সাথে দেখা দিবে হতাশা। তিনি সব জটিলতা নিরসন করে অবিলম্বে পৌর নির্বাচন দাবী করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েকশো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি মোংলা পোর্ট পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়।
সত্যের সন্ধানে আমরা প্রতিদিন
দশ বছর অতিক্রান্ত হলেও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কারনে সময় মতো পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমানে হাইকোর্ট সকল মামলা খারিজ করে নির্বাচন কমিশনকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু পুনরায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আশংকায় নাগরিক সমাজ উদ্বিগ্ন বলে মানববন্ধনে অভিমত ব্যক্ত করেন।