জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারনে ধারাবাহিকভাবে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৎস্যবিষয়ক আর্ন্তর্জাতিক গবেষনা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের চলতি মাসের রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারতে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী আর্ন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদন। ওয়ার্ল্ড ফিশের তথ্য মতে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানে ইলিশের উৎপাদন কমেছে। প্রথম স্থান দখলকারী বাংলাদেশের পরে ইলিশ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। যেখানে পাঁচ বছর আগে দেশটিতে বিশ্বের ২৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন হত। তবে ২০২০ সালে তাদের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ কমেছে। ৩ শতাংশ উৎপাদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মায়ানমার। আর বাকি ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মা ও জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ করার পাশাপাশি নিরাপদ প্রজননের সুযোগ তৈরী করায় বাংলাদেশ আজ সফল।
ইলিশের নিরাপদ বিচরণ ও বড় হওয়ার জন্য অভয়াশ্রম বাড়ানো এবং সুরক্ষার ভূমিকার কারনে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে এছাড়া নতুন করে ইলিশ ধরার জালের আকৃতি নির্ধারণ করায় ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতি বছর ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে এই মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ কর্মসূচিও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ডফিশ, মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২০সালে পরিমাণের দিক থেকেই নয়, আকৃতির দিকে থেকেও কোনও দেশ বাংলাদেশের ইলিশের ধারে কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মৎস্য অধিদফতর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টার ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ যৌথভাবে ইলিশের জিনগত বৈশিষ্ট্য ও গতিবিধি নিয়ে প্রথম একটি গবেষণা করে। সত্যের সন্ধানে আমরা প্রতিদিন