মামলাসূত্রে জানা গেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার বাজার জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান আওয়ামী লীগ নেতা এইচএম হাফিজুর রহমান মামুন। নামাজের প্রাক্কালে তিনি মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মাঈনুদ্দিনের সঙ্গে কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
এসময় মুসল্লী জাকির হোসেন বলেন করোনা হাসিনার সৃষ্টি,হাসিনাকে টিভিতে দেখলে সেইদিনটি আমার খারাপ যায়। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তার এ ঔদ্বত্যপূর্ণ কটুক্তির তাৎক্ষনিক তীব্র প্রতিবাদ করে মামুন বিষয়টি মুঠোফোনে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আ.মন্নান মৃধা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধাকে জানান।
পরের দিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় এ নিয়ে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আ.মন্নান মৃধা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধা, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান,মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু সাদেক মোহাম্মদ ওয়াদুদ,আউয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ.হালিম,বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মৃধা,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ হাওলাদার,যুবদল নেতা আ. রহমান প্রমুখ মসজিদে শালিস বৈঠকে বসেন।
বৈঠকের এক পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেন জাকির হোসেন তুমি তোমার দোষ স্বীকার করো।
এসময় জাকির হোসেন তার দোষ স্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঔদ্বত্যপূর্ণ এ মন্তব্যে শুধু দোষ স্বীকার করার এ শালিসী মনোপুত না হওয়ায় এইচএম হাফিজুর রহমান মামুন বৈঠকস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
পরে তিনি বাদী হয়ে জাকির হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী ও ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।