হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সড়কের কার্পেটিং এর সংস্কার কাজ ফেলে
ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। জানা যায়, উপজেলার শাহজিবাজার দরগা গেইট
থেকে বাঘাসুরা কালিবাজার ১ বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায়
জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও
হতাশা দেখা দিয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে ১
বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান উভয় পাশে মটি খুড়ে গর্ত করা ও পুরাতন কার্পেটিং তুলে
কিছুদিনের মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেয়।
এতে করে রাস্তার গর্তে পানি আটকে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। বাঘাসুরা সহ
পার্শ¦বর্তী নাসিরনগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল
করে। মাধবপুর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে
শাহজিবাজার-বাঘাসুরা কালিবাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে
সংস্কার কাজের কার্পেটিংয়ের জন্য টেন্ডার আহব্বান করা হয়।
এ রাস্তায় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। ডলি কন্ট্রাকশন নামে একটি
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের কাজ পেয়ে অনেক দেরীতে কাজ শুরু করে।
টেন্ডার নির্দেশনা মতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সড়কের পাশে কিছু গর্ত
ও কার্পেটিং তুলে কাজ শুরু করার কিছুদিন পরেই কাজ সম্পন্ন না করে
মাঝপথে কাজ রেখে চলে যায়।
এরফলে এই ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় জনগণের চলাচলের
ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন
আহম্মেদ জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত
করে। কিš‘ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার না করায় এখন জনগণের
দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের জন্য বার বার বলার পরও
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
এ নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন জনগণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য
মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এরপরেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের
টনক নড়েনি। চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আরো বলেন সড়কটি সংস্কার করার
জন্য উপজেলা জেলা ও ঢাকায় এলজিইডি সদর দপ্তরে একাধিকবার কথা বলেছি।
এমনকি মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনের সংসদ সদস্য ও বিমান ও পর্যটন
প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে একাধিকবার অবগত করেছি।
তিনি এলজিইডিকে বলার পরেও ঠিকাদার সড়কের সংস্কার কাজ করতে
আসেনি। ডলি কন্ট্রাকশনের একটি সূত্র জানান, করোনার কারণে সড়কটির
সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার চৌধুরী বলেন, সময় মত কাজ শেষ না করায় ডলি কন্ট্রাকশনের
টেন্ডার বাতিলের জন্য ঢাকা প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ে বহু আগেই
চিঠি দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন করে টেন্ডার আহব্বান করে সড়কের কার্পেটিং ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন
করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।