সিএনজি ও অটোরিকশায় বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালক ও মালিকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের চকমতি নামক স্থানে যানবাহন বন্ধ রেখে চালক, মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, নান্দাইল থেকে কিশোরগঞ্জ সড়কে প্রবেশের পর বিভিন্ন কায়দায় তাদের কাছ থেকে মাসিক টাকা ছাড়াও সিএনজি ২০ টাকা ও অটোরিকশা ১০ টাকা করে প্রায় ১০টি স্পটে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও পুলিশের নামে নেওয়া হচ্ছে প্রতিমাসে ২ থেকে ৩ শ টাকা। চাঁদা দিতে দেরি হলে বা কোনো কারণে না দিলে গাড়ি আটক করে চলে চালকদের মারধর। এসব চাঁদা আদায়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকারদলীয় সমর্থকরা। তারা শ্রমিক লীগের নেতা পরিচয়ে পরিচিত।
কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন স্ট্যান্ডের নেতৃত দিচ্ছেন মো. লোকমান ও কাজল মিয়া। তারাই শ্রমিক কল্যাণ, নিজেদের সংগঠনের ও পুলিশের নামে চাঁদা ওঠাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন নান্দাইল অঞ্চলের অটো-সিএনজির সমবায় সমিতির সভাপতি এনায়েতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ মিয়া।
শ্রমিকরা জানান, চাঁদা ও গাড়ির মালিকদের জমা টাকা দেওয়ার পর কিছুই থাকে না তাদের। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।
নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের শ্রমিক নেতাদের নিয়ে অচিরেই আলোচনায় বসা হবে।