ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার সাবেক ওসি মো. মিজানুর রহমানসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা হয়েছে। দুর্গাপুরের গুজিরকোনা গ্রামের মৃত আলাল তালুকদারের ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলম তালুকদার আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- দুর্গাপুর থানার সাবেক সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হালিম ও একই থানার সাবেক কনস্টেবল জুয়েল রানা। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় থানায় এনে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ও দ্রুত বিচার ২০১৯ এর ৪(১) ৫ ধারা উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। জেলার দুর্গাপুর উপজেলা সদরের পুলিশ মোড়ের বাসিন্দা আলম তালুকদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হালিম ও কনস্টেবল জুয়েল রানা দুর্গাপুর মাছ মহাল থেকে আলম তালুকদারকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওসি মিজানুর রহমান তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আলম তালুকদার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওসি মিজানুর রহমানের নির্দেশে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
রাত দেড়টার দিকে ওসি মিজানুর রহমান লাঠি দিয়ে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে ওসি মিজান উত্তেজিত হয়ে দেয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করেন।
আলম তালুকদার বমি করলে তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিছুটা সুস্থ হলে ফের থানায় নিয়ে কয়েকটি কাগজে আলম তালুকদারের স্বাক্ষর রেখে আদালতে চালান করা হয়। আদালত ওইদিনই আলম তালুকদারের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে ওই তিনজন পুলিশ সদস্যকে দুর্গাপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জানান, আদালতে মামলা হওয়ার কথা শুনেছেন। তবে মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজ এখনও তার কাছে পৌঁছায়নি।