প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০, ১:০২ পূর্বাহ্ণ
গাইবান্ধায় সফর করলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব।
গাইবান্ধায় সফর করলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। বুধবার গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা। তিনি পলাশবাড়ী হয়ে গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে সকাল ১০.২০ মিনিটে অবস্থান করেন।
এ সময় গাইবান্ধা সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব আবদুল মতিন ও জেলা পুলিশ সুপার জনাব তৌহিদুল ইসলাম সার্কিট হাউজ চত্বরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।ফুলেল শুভেচ্ছা শেষে অভিবাদন মঞ্চে জেলা পুলিশের আয়োজনে তাকে অভিবাদন জানানো হয়। অভিবাদন শেষে সার্কিট হাউজ চত্বরে জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আবদুল মতিন এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নবনির্মিত ফোয়ারা শুভ উদ্ধোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আলমগীর কবির, ডিডিএলজি জনাব রোকসানা বেগম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব জেবুননাহার, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব খান মোঃ শাহরিয়ার প্রমূখ।
এর পর ‘মুজিব বর্ষের আহবান, লাগাই গাছ বাড়াই প্রাণ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সার্কিট হাউজ চত্বরে ফলোজ বৃক্ষরোপন করেন। বৃক্ষরোপন শেষে জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সু-সজ্জিত (অন্দর) ‘সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষ’ উদ্ধোধন করেন।এ সময় তিনি বলেন, গাছ আমাদের প্রকৃতির পরম বন্ধু। এক একটি গাছ আমাদের সম্পদ। গাছ আমাদের সবরকম সহযোগিতা করে থাকে।
গাছ নানাভাবে মানুষের উপকার করে। ফল, ফুল, কাঠ, অক্সিজেন, ছায়া- এ সবকিছুই আমরা গাছ থেকে পাই। গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট ইন্সটিটিউটের গবেষকরা ৫০ বছর বেঁচে থাকা একটি গাছের আর্থিক সুবিধা বের করেছেন।
তা হচ্ছে, গাছ বায়ুদূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে ১০ লাখ টাকার, জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন দেয় ৫ লাখ টাকার, বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা, মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা, বৃক্ষে বসবাসকারী প্রাণীদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা, আসবাবপত্র, জ্বালানি কাঠ ও ফল সরবরাহ করে ৫ লাখ টাকার, বিভিন্ন জীবজন্তুর খাদ্য জোগান দিয়ে বাঁচায় আরও ৪০ হাজার টাকা।
৫০ বছর বেঁচে থাকা একটি বৃক্ষের আর্থিক সুবিধার মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যেসব এলাকায় গাছ বেশি, সেখানে বন্যা, ঝড় তেমন ক্ষতি করতে পারে না। গাছপালা মায়ের আঁচলের মতো মানুষকে আগলে রেখে রক্ষা করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। এর পর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দিক নিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখেন।
https://bd24news.com