বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. খোরশেদ আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রবর্তন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আমাদের প্রেরণার উৎস্য। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব এই প্রত্যাশা শিক্ষক সমিতির।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের পর জাতির জনকের জীবন, কর্ম ও নীতি নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণা হওয়ার প্রয়োজন ছিল তা খুব একটা হয়নি প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্রান্তের কারণে।
এ বিষয়ে এখনও উল্লেখযোগ্য তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা নেই। সুনির্দিষ্টভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন, নীতি ও কর্মের উপর গবেষণা হওয়া প্রয়োজন এবং গবেষণার প্রচুর সুযোগ আছে। পরবর্তী প্রজন্মের প্রয়োজনে, ইতিহাসের প্রয়োজনে জাতির পিতাকে নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হওয়া দরকার।
‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার যে দ্বার উন্মোচিত হলো তা আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ ও স্থায়ীত্ব করবে এবং নতুন প্রজন্মের ইতিহাসবোধকে জাগ্রত করবে আশা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির।
তরুন প্রজন্মের মনোজগতে বঙ্গবন্ধুর আধিপত্য যত বেশী হবে- অসাম্প্রদায়িক চেতনায়, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথ তত বেশি উজ্জল ও সুগম হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রত্যাশা করে।