লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল পদ্মা
শাখার শ্রমিকেরা ভালো নাই, সুখে নাই, শান্তিতে নাই। তাদের ভাল মন্দ দেখার জন্য
কোন নেতাও নাই। কোন অভিভাবকও নেই। পদ্মা শাখার অনির্বাচিত নেতারা সবাই
আছে তাদের নিজ নিজ আখের গোছানোর ধান্ধায়, বিশেষ করে সভাপতি জাহিদ
হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিলে তাদের স্বার্থ হাসিলে বিভোর।
সভাপতি জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ ফেডারেশনের জাতীয় নেতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান
করছে বলে দাবী করে এবং তার কথা বার্তায় বাংলাদেশের কোন এমপি ও মন্ত্রী তার ধারে
কাছেও ঘেষতে পারবে না বলে বেড়ায়। এমনভাবে নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী
বলে সে সব সময়, তার সাথে প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তাদের যোগাযোগ আছে
বলে বীরদর্পে বলে।
এমন ভাব দেখায় যে, প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের পকেটে থাকে।
অথচ এই সমস্ত ভুয়া কথা ছড়িয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে কুচক্রী জাহিদ হোসেন
ও ফারুক। সর্বদা নিরীহ শ্রমিকদের সাথে দূর্ব্যবহার করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
শ্রমিকদের উপর প্রায় সময় জীবননাশের হুমকী সহ অমানুষিক নির্যাতন করে থাকে।
ডিপোর ভিতরে অবৈধ স্বার্থের ব্যাঘাত হলে ডিপোর কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ
ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে না। প্রতিদিন জেট এ-১ বিমানের তেল জোর পূর্বক
২৩০/২৫০ লিটার নিজের নামে আদায় করে থাকে। এতে করে সাধারণ শ্রমিকরা তাদের
ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়।
জাহিদ সবসময় বলে থাকে এই তেলের হিস্যা বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের হেড অফিস ও ট্যাংকলরী
শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পেয়ে থাকে। এইটা হলো
জেট এ-১ এর ব্যাপার। এছাড়াও জেনারেল সাইডেও বড় মাপের অনিয়ম রয়েছে। যেমন
ট্যাংকলরীরর ক্যালিব্রেশনকে মুডিফাই করে প্রতি গাড়ীতে ৫০/৬০ লিটার ডিজেল
হাতিয়ে নেয়। এতে করে প্রতিদিন ৩০০/৩৫০ লিটার ডিজেল বেশী নিয়ে থাকে। শুধু
তাই নয়, জাহিদ ও ফারুক বিভিন্ন এমপিদের নাম ভাঙিয়ে একের পর এক অপরাধ করে
যাচ্ছে। যারফলে সাধারণ শ্রমিকরা বাস্তবে কিছুই পায়না।
আরো জানা যায় ডিপো থেকে ট্যাংকলরী বাহির হলে জাহিদ এর শ্যালকের দোকানে অতিরিক্ত সমস্ত ডিজেল
নামিয়ে রাখে। জাহিদ বর্তমানে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। ট্যাংকলরীর
শ্রমিক ইউনিয়নকে একক হাতিয়ার বানিয়ে সে এই কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
জাহিদ কোন দিনই শ্রমিক বান্ধব ছিলনা। তার আরও একটা উদাহরণ জেট এ-১ তেল
সঠিক ভাবে বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রমিকরা গাড়ীতে থার্মোটিমার রাখতো যাতে
করে তাপমাত্রা সঠিক ভাবে বুঝিয়ে পাওয়া যায়।
কিন্ত জাহিদ হোসেন জোর করে সেই থার্মোমিটার শ্রমিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। তাছাড়া সে তার গাড়ীগুলো
কেলিব্রেশন ও বিস্ফোরক করে না অন্যদেরকেও করতে দেয় না। ডিপো কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে
তাদেরকে গাড়ী বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে ডিপোর বাইরে অসম্মান করার
হুমকী দেয়।
যে কারণে এ ডিপোতে কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চায়
না। এ ডিপোতে ট্রান্সফার হতে চায় না। কথায় কথায় ডিপো বন্ধের হুমকী দিয়ে
কর্মকর্তা বদলি ও অপমানিত করা এবং তেল কোম্পানীর শ্রমিক বদলি করতে,
কোম্পানীকে বাধ্য করে। নামধারী নেতা জাহিদ ও ফারুকের হাতে গোদনাইল পদ্মা
ডিপো জিম্মি। শ্রমিকরা বলেন, জাহিদ ও ফারুক শ্রমিক বিরোধী কর্মকান্ড ও বে-
আইনী কাজের ফিরিস্তি লিখে শেষ করা যাবে না। গত ০৯ আগষ্ট মোল্লা ফিলিং ষ্ট্রেশন
ট্যাংকলরী রাস্তায় আটকিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
আর হুমকী দেয় টাকা না দিলে
গাড়ীসহ চালক এবং হেলপারকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে। জাহিদ বিভিন্ন সরকারের সময়
সরকারদলীয় বনে যায়। কিন্ত বিএনপি আমলে ককটেল পার্টিও করেছিল এলাকায়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জাহিদ ও ফারুকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা এবং
সংগঠনের পদ পদবী থেকে বহিস্কার করে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার
অফিসার ইনচার্জের কাছে অনুলিপি প্রেরণ করেছে।
দ্রুত সমস্যা নিরসন না হলে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে সংবাদ সম্মেলন ও শ্রমিক ভবন ঘেরাও করার
হুমকী দিয়েছে লিখিত অফিযোগে।