মহামারি করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানসহ নানা পেশাজীবীর তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসছে। কুষ্টিয়ায় সামনের সারি থেকে এ যুদ্ধ যারা মোকাবেলায় জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন তাদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের একঝাঁক কর্মী অন্যতম।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ এর নেতৃত্বে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা টানা ১৮০দিন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ২৪ঘন্টা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
রোগীদের খাবার পৌঁছানো, নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, সেনিটাইজার বিতরণ, শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করণ থেকে শুরু নমুনা সংগ্রহে সহযোগিতা, দাফন কাফনে সহযোগিতা, লগডাউন বাস্তবায়ন, অক্সিজেন সরবরাহ,ঔষধ সরবরাহ, চাল বিতরণে সহযোগিতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল কাজেই সহযোগিতা করছেন এই সেচ্ছাসেবকরা।
আইসোলুসন ওয়ার্ডে ৫০০+ টি করোনা পজেটিভ রুগীর ২৪ঘন্টা আইসোলুসন ওয়ার্ডে ডাক্তার ও নার্সদের সাথে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে, এছাড়া হোম আইসোলুসনে কুষ্টিয়া জেলাপ্রশাসক, সাংবাদিক,চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি সহ মোট ৫২ জনের স্ব স্ব বাসভবনে গিয়ে সেবা দিয়েছে,এবং করোনা পজেটিভ লাসের দাফন করেছে , কুষ্টিয়া সদর হসপিটালের সাধারণ ওয়ার্ডে প্রায় ১০০০+ রুগীর বিভিন্ন সেবা দিয়েছে হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের এই স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা,এমন মানবিক কাজ করতে গিয়ে মোঃ আঃ হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ সহ ৭ জন ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক করোনা আক্রান্ত হন,এদের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে আবার সেবার ব্রতনিয়ে কাজে যোগদেন।
এই মানবিক কাজে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও জননেতা জনাব মাহবুবউল আলম হানিফ এম পি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা এই কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে,বাংলাদেশ সরকার কতৃক করোনা নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা না দেওয়া র্পযন্ত কার্যক্রম চলবে।
এতো এতো নেতা কর্মি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থাকতে আপনি কেন এমন সাহসীক কাজের জন্যে এগিয়ে আসলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে চ্যালেঞ্জ বলেন প্রিয় নেতা জননেতা জনাব মাহবুবউল আলম হানিফ এম পি, কে যখন কুষ্টিয়া সদর হসপিটালের জনবল সংকটের কথা বলেন ডা তাপস কুমার সরকার,তখন প্রিয় নেতা আমাদের নির্দেশ দেন তোমরা এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে থেকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সেবার হাতবাড়িয়ে কাজ করবে এটাই রাজনীতি, আসলে প্রিয় নেতা আমাদের বারবার খোজনেওয়া ও উৎসাহ যুগিয়েছেন বলেই এমন সাহসী সেবা মূলক কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
তাছাড়া আমার বাবা একজন যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, তিনি দেশের জন্যে পিতামুজিবের ডাকে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন,আমি তার সান্তান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী,আপনি জানেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবসময় কাজ করে তারই ধারাবাহিকতাই আমার এমন উদ্যোগ ।
জেলার নেতাকর্মি ও চিকিতসকগন ছাত্রলীদের এমন অসাধারন উদ্যোগকে সাগত জানিয়েছেন এবং তারা বলেন ছাত্রলীগ বরাবরই অসহাই ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকে কিন্তু চ্যালেঞ্জের নেত্রিত্বে ছাত্রলীগ কুষ্টিয়াতে যেভাবে করোনাকালে জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছে তা সত্যিই বাংলাদেশের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।