ঠাকুরগাঁওয়ে ‘নেশা করে বাড়িতে ফিরে’ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ছয় মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী পারভিন আক্তারের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দিয়েছে তারই স্বামী নুর ইসলাম।
শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নুর ইসলামকে আটক করেছে।
আহত পারভিন আক্তার (২৪) জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং আটক নুর ইসলাম (৩২) সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার দারাজ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ৮ মাস আগে নুর ইসলামের সাথে পারভিন আক্তারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি ছয় মাসের অন্ত:সত্ত্বা। বৃহস্পতিবার বাবার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন গৃহবধু পারভিন আক্তার।
শুক্রবার বিকেলে বাবার বাড়িতে থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন পারভিন। কিছুক্ষণ পর তার স্বামী নুর ইসলাম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে পারভিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে।
এসময় প্রতিবাদ করলে স্ত্রীকে চরথাপ্পর দেয় স্বামী নুর ইসলাম। এক পর্যায়ে ঘর থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পারভিনের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেয় স্বামী নুর ইসলাম।
পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধু পারভিন আক্তারকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত পারভিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাকিব ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন, পারভিনের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য পারভিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাষন্ড স্বামী নুর ইসলামকে আটক করেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে আহত পারভিন আক্তারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং চিকিৎসার জন্য আহত পারভিনকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।