প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৪:৫৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ২:৫৪ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জে সমালোচিত পুলিশ উপর মহলের পদক্ষেপে খুশি সাধারণরা।
হবিগঞ্জ পুলিশ হঠাৎ করেই সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েছে হবিগঞ্জ পুলিশ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে ক্লোজড হয়েছেন দুই ওসি সহ এক সাব-ইন্সপেক্ট ও ৩ কনস্টেবল। এমন অবস্থায় পুলিশের প্রতি মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি হলেও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকায় খুশি সাধারণ মানুষ।
সচেতন মহল বলছেন- পুলিশ জনগণের বন্ধু জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণে পুলিশের প্রতি মানুষের অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের শুধু ক্লোজড নয়, চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বিহিস্কারেরও দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
এদিকে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। অভিযোগগুলোর তদন্ত শেষ হলে তাদেরকে স-সম্মানে পূণরায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা
জানা যায়-অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান-গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের স্কয়ায়ের সামন থেকে ‘আরএফএল বেস্ট বাই য়ের ম্যানেজার লুৎফুর রহমান তার এক কাস্টমারের মোটরসাইকেল করে ওলিপুর আসছিলেন এসময় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করে কাগজপত্র দেখতে চায়।
কিন্তু চালক কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে জানালে আরএফএল বেস্ট বাইয়ের ম্যানেজার লুৎফুর রহমানের জিম্মায় মোটরসাইকেলটি রেখে চালক বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনতে যান।
কিন্তু তিনি আর কাগজপত্র নিয়ে না আসায় পুলিশ লুৎফুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে হাজতে আটকিয়ে সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দাবি করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন। অন্যতায় তাকে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হুমকি প্রদান করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের দাবি করা সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে রাতে থানা থেকে মুক্তি পান লুৎফুর রহমান এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর লুৎফুর রহমান।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন। এতে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোজাম্মেল হোসেন, এক সাব ইন্সপেক্টর ও ৩ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়।
অন্যদিকে জেলার চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হককে প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি জানান- পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে ওসি শেখ নাজমুল হককে মঙ্গলবার রাতে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনও কোনো কিছু জানা যায়নি।
তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায় ওসি শেখ নাজমুল হক আজমিরীগঞ্জ থানায় দায়িত্বকালীন একটি মামলা সংক্রান্ত ঘটনা নিয়েই তাকে প্র্যাহার করা হয়েছে মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়াও চুনারুঘাটে দায়িত্বকালীন থাকা সময়ে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে।
https://bd24news.com