পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করা এবং যে দলটির ডাকে মহান স্বাধীনতা এসেছে সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে এই মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিলের। পরে বানারীপাড়া পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে জে এল ৭৪নং কুন্দিহার মৌজায় এস.এ ৪৫, ৭১ ও ২৬১ নং খতিয়ান ভূক্ত ৪১১ নং দাগের ৭ শতাংশ সম্পত্তি মৃত আঃ মজিদ মৃধার ছেলে শামসুল আলম মৃধা বিক্রির কথা প্রকাশ করলে মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল বেপারী ওই সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ফলে সামসুল আলম মৃধা ২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী তার নিজ চাচা আঃ আউয়াল মৃধাকে স্বাক্ষী রেখে তার বসত ঘরে বসে আঃ জলিলের সঙ্গে সম্পত্তির বায়না চুক্তি করেন। পরে ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর বায়না চুক্তিতে উল্লেখিত ৭ শতাংশ সম্পত্তি থেকে ৪ শতাংশ সম্পত্তি শামসুল আলম মৃধা রেজিষ্ট্রি করে দেন ।
বাকি ৩ শতাংশ সম্পত্তি কিছুদিন পরে রেজিষ্ট্রি করে দেবার কথা বলেন তিনি। পরে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর অপর একটি বায়না চুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল বেপারীর কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা গ্রহন করেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই ৩ শতক জমি মুক্তিযেদ্ধা আঃ জলিল বেপারীকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়নি শামসুল আলম মৃধা।
পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা জলিল বেপারী বিভিন্নজনদের কাছে ঘুরেও কোন সুরাহ না পাওয়ায়। এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে শালিস বৈঠকের তারিখ ধার্য করেন। সেই বৈঠকেও সামসুল আলম মৃধা সময় ও তারিখ মোতাবেক উপস্থিত হয়নি।
বর্তমানে জাতির এই বীর সন্তান দারস্থ হয়েছেন বানারীপাড়া থানায়। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে বানারীপাড়া থানায় এবং প্রেসক্লাবে সু-বিচার চেয়ে পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। উল্লেখ্য মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল বেপারী তার ভাইয়ের মেয়ে জান্নাতের নামে ওই সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শামসুল আলম মৃধা।